মুহিবুল্লা হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘের তীব্র নিন্দা
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। একইসঙ্গে সংস্থাটি হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেতা মুহিবুল্লাহর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
ইউএনএইচসিআর মুহিবুল্লাহর পরিবার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, যারা শোকাহত। আমরা অবিলম্বে তদন্তের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করার অনুরোধ করছি।
সংস্থাটি জানায়, ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর যোগাযোগ করছে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, সুস্থতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকরা মুহিবুল্লার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এছাড়া মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনার বিচার দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা। বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহও।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।
এনআই/এসকেডি