ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন
ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জুবিলিপেক্স ২০২১ ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ভার্চুয়াল ফিলাটেলিক এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। ফিলাটেলিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্মারক ডাকটিকিট নতুন প্রজন্মের জন্য আলোর দিশারি। স্মারক ডাকটিকিটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অতীতের জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে আত্মস্থ করার সুযোগ পায়। ডাকটিকিট সংগ্রহ একটা বড় শখ ও নেশা, এখন আগের মতো চিঠি চালাচালি নেই তবু অনেকের কাছেই স্মারক ডাকটিকিট সংগ্রহ এখনও বড় শখ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তির বিকাশ ডাকঘরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ডাকঘর আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল করতে না পারলে সচল রাখতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক সার্ভিসের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, স্মারক ডাকটিকিট সংগ্রহ করে ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে ফিলাটেলিক সংগঠনসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কথা বলে। নতুন প্রজন্মের কাছে এক একটি ডাকটিকিট একেকটি মহাকাব্য হতে পারে। আমাদের দেশে ডাকটিকিট সংগ্রহকে আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফিলাটেলিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের নেতা আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান চন্দ্র মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
একে/এসকেডি