দুবাইয়ের ৬ মাসব্যাপী ওয়ার্ল্ড এক্সপো, অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ
আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছয় মাসব্যাপী ওয়ার্ল্ড এক্সপো। বিশ্ববাসীর কাছে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বাংলাদেশ এতে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ওয়ার্ল্ড এক্সপো চলবে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দুবাই এক্সপো ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছরটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের মতো তিনটি গৌরবময় বিষয় বিশ্বব্যাপী ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে এক্সপো-২০২০ দুবাই সুযোগ তৈরি করেছে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতীতের মতো এক্সপোতে প্রথাগতভাবে অংশ নেওয়ার পরিবর্তে সাসটেইনেবিলিটি সাভ-থিমের আওতায় প্রথম বারের মতো ভাড়া করা প্যাভিলিয়নে অংশগ্রহণ করছে।
ছয় মাসব্যাপী এই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে আগামী ৮ মার্চ নারী দিবসের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এক্সপো ভেন্যুতে সেমিনার, বিটুবি সভা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এক্সপো ২০২০ দুবাই আয়োজনের মূল থিম ধরা হচ্ছে ‘কানেকটিং মাইন্ডস, ক্রিয়েটিং দ্যা ফিউচার।’ এছাড়া বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের এক্সিবিশন টাইটেল নির্ধারিত হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের দিকে অদম্য বাংলাদেশ।’
এক্সপো কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই তলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়নের নীচতলায় ৪৩৬ দশমিক ৫৬ বর্গমিটার প্রদর্শনীর জন্য এবং দ্বিতীয় তলায় ৩৮২ দশমিক ৫৭ বর্গমিটার দাফতরিক, সেমিনার ও বিজনেস টু বিজনেস সভার কাজে ব্যবহারের জন্য সংস্থান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক্সপো কর্তৃপক্ষ বরাবর প্যাভিলিয়ন ভাড়া বাবদ ৬ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের সাজ-সজ্জা বাবদ প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এক্সেপোর মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অগ্রগতি, সাফল্য ও বাণিজ্য সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সম্ভাবনায় পণ্যের পাশাপাশি কৃষ্টি ঐতিহ্য সম্পর্কিত পণ্য সম্ভার প্রদর্শনী করা হবে। কিছুদিন পর পর পণ্য প্রদর্শনীর তালিকা পরিবর্তন করা হবে।
এসএইচআর/এমএইচএস