চাকরি দেওয়ার প্রতিষ্ঠান খুলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিত তারা
চাকরি দেওয়ার প্রতিষ্ঠান খুলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিত আস্থা গেটওয়ে লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
সিআইডি বলছে, প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পদে চাকরির মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে পক্ষান্তরে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় আস্থা গেটওয়ে লিমিটেড নামে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেপম্বর) দুপুরে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন।
গ্রেফতাররা হলেন- আস্থা গেটওয়ে লিমিটেড চেয়ারম্যান মো. আল আমিন (৪৮) ও এমডি হারুনর রশীদ বাদল (৪৩)।
ডিআইজি ইমাম বলেন, তারা ভুয়া কোম্পানি খুলে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত। এরপর আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিত। টাকার বিনিময়ে কখনো ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছে। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ইমেক্স ম্যানপাওয়ার রিক্রুইটিং এজেন্সি বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৪টি ভুয়া নিয়োগপত্র, বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের আবেদন ফরম, চাকরি প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম, জীবন বৃত্তান্ত, ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, স্কুলের দফতরি জাতীয় চাকরিতে সরকারিভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় না। সেসব চাকরিতে তারা ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে যেসব বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, সেগুলো তো সবাই জানেন। এসব চাকরিতে প্রার্থী সাধারণত স্থানীয় এমপি ও স্কুলের সভাপতিরা নিয়ে থাকেন। এসব চাকরিতে তারা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছে।
আসামিরা দেশের চাকরিপ্রার্থী বিপুল সংখ্যক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তাই তাদের দুই জনসহ মোট ৫ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এআর/জেডএস