দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ আওয়ামী লীগের হাতেই হয়েছিল
দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ আওয়ামী লীগের হাতেই হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এই সরকার তো সেই সরকার যারা দুর্নীতিতে বিসমিল্লাহ করে গেছিল।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের আলোচনার পরে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আজকে খুব খুশি দেখলাম। ওনার খুশি দেখে আমরাও খুশি। উনি বললেন, আমি আজকে প্রস্তুত হয়ে এসেছি এবং অনেকগুলো পরিসংখ্যান আমরা আজকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পেলাম। আমার হঠাৎ করে মনে পড়ল কয়েকদিন আগে বা কয়েক মাস আগে একটা বিজ্ঞাপন ছেপেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমন কোনো জাতীয় দৈনিক নেই যেই দৈনিকে ওই বিজ্ঞাপন ছাপা হয়নি।
তিনি বলেন, সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে প্রতি টিকা ৩ হাজার টাকা করে কেনা হয়েছে। সেখানে উপহারের টিকা যদি আমরা যুক্ত করি তাহলে সেটা ৩ হাজার টাকা হয়। যদি উপহারের টিকা বাদ দেই তাহলে সেই সময় যে সামান্য টিকা ছিল তার মূল্য দাঁড়ায় ১৬ হাজার টাকা। আজকে উনি যে পরিসংখ্যান দিলেন সেটা ওই ধরনের কি না, গাঁজাখুরি কি না আমি ঠিক জানি না। কারণ একবার তো আমাদের চুন খেয়ে মুখ পুড়ে গেছে আরেকবার এই পরিসংখ্যান ওনার মুখে শুনতে একটু ভয়ই লাগে।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ান বলতে বড় ভালো লাগে। টকশোতে বলি, পার্লামেন্টে বলি, মিটিংয়ে বলি শুনতেও বড় ভালো লাগে। একটু মনে করিয়ে দেই টিআইবি দুর্নীতির রিপোর্ট প্রথম প্রকাশ করে ২০০১ সালে। তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএনপি ছিল ক্ষমতায়। তবে যে রিপোর্ট কার্ডটা প্রকাশিত হয়েছে সেই রিপোর্ট কার্ডের পরীক্ষা কিন্তু দেওয়া হয়েছে ২০০০ সালে।
তিনি বলেন, ২০০০ সালে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ এবং তারা তখন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের সূচক রেখে গেছিল দশমিক নয় এবং এরপরে বিএনপি এসে ২০০১-০৫ সময়ে এ সেই সূচক বাড়াতে বাড়াতে ১ দশমিক ৪ এ নিয়ে তারপরে বিএনপি ২০০৬ সালে ক্ষমতা থেকে যায়। সুতরাং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ ওই আওয়ামী লীগের হাতেই হয়েছিল।
রুমিন বলেন, যে কারণে এখন কয়েকগুণ বেশি দামে মহাসড়ক নির্মাণ দেখি। বিদ্যুৎ খাতে ৬২ হাজার কোটি টাকা এক মেগাওয়াট উৎপাদন না করেও শুধুমাত্র ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে দেখি। আমরা ৩৭ লাখ টাকা দিয়ে পর্দা কিনতে দেখি। আমরা অবিশ্বাস্য দামে বই আর ক্যানোলা কিনতে দেখি। এই সরকার তো সেই সরকার যারা দুর্নীতিতে বিসমিল্লাহ করে গেছিল।
এইউএ/জেডএস