বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শিগগিরই
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে এলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এজন্য উভয় দেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছে দেশ দুটি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ বিষয় দ্রুত ভারতের মতামত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বলেন, উভয় দেশের যৌথ সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছ থেকে মতামত জানতে চেয়েছি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা মতামত জানাবে।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় চার মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন এখনও চালু করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির পর থেকে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে মৈত্রী ট্রেন ও খুলনা-কলকাতার মধ্যে বন্ধন নামের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হলদিবাড়ি রেলস্টেশন ও রেলপথ পরিদর্শন করেছেন ভারতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। তিনিও তখন জানান শিগগির উভয় দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথম ট্রেনটি হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে চলবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উভয় দেশের পর্যটন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিগগিরই বাংলাদেশও ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া শুরু করবে।
পিএসডি/এসএসএইচ