শুরুতেই মন্ত্রী-এমপিরা টিকা নেবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দেশে আসছে। ফলে এ মাসেই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
টিকাদান কার্যক্রম যেদিন থেকেই শুরু হোক, শুরুতে কোনো মন্ত্রী, এমপি বা ভিভিআইপিদের টিকা না দিয়ে চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। যাদের সবচেয়ে আগে টিকা প্রয়োজন তাদের আগে দেব। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও সাংবাদিকদের আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে। যেভাবে পরিকল্পনা করা আছে সেভাবেই হবে। ভিভিআইপিরা আগে টিকা পাবেন না।
এ মাসেই টিকাদানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই টিকাদান শুরুর কথা ভাবছি। তবে, জাতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকা প্রয়োগ হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার টিকাদানের যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে জেলাপর্যায়ে চারটি টিম, উপজেলায় দুটি টিম ও হাসপাতালে ছয়টি টিম কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন ছাড়াও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন দুই লাখ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন দেশে টিকাদানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রয়োগে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় হাসপাতালও তৈরি আছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা প্রয়োগের জন্য ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। ২০ লাখ আর পরের ৫০ লাখের টিকা মজুদের প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিকভাবে জেলা, সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আনুমানিক ২ লাখ টিকা দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেন, সেরামের ২০ লাখ করোনা টিকা আসছে। পরে আরও ৫০ লাখ ডোজ আসলে সমন্বয় করে সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে। এগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিনটি ওয়্যার হাউজে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
টিআই/ওএফ