পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : খাদ্যমন্ত্রী
সবার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন অডিটোরিয়ামে ‘স্টেজ- থ্রি : মেম্বার স্টেট ডায়ালগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে। সরকার বর্তমানে সবার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য- জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যান্য খাতের ন্যায় দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে বিশদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি-খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ‘ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। সামিটের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় পর্যায়ে ডায়ালগ বা সংলাপের আয়োজক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য পাথওয়ে ডকুমেন্ট প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আমরা সে লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। এজন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বঞ্চনাকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. লুতফুল হাসান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাদ্য বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচআর/আরএইচ
