ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর কাজ চলছে
ঢাকা ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান সকল প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। পাশাপাশি সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালুর জন্য কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ (বৃহস্পতিবার ) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ও চীনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং কো-অপারেশন কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওইন ইয়ং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ প্রকল্পের আওতায় বারিধারা ক্রসিং থেকে রামপুরা ও বারিধারা থেকে এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা,গুলশান, বনানী ও কচুক্ষেত এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্যাকেজে ব্যয় হবে ৫১৮ কোটি টাকা।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাসহ সারা দেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রকল্পের জন্য যেহেতু বৈদেশিক সহযোগিতা নেওয়া হয় সেজন্য প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কারণ, সেখানে লবণাক্ত পানিসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। সেজন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সারা দেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির চেষ্টা করছি, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রুপান্তরের জন্য সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। আমরা শুধু ট্র্যাডিশনাল এগ্রিকালচারের ওপর নির্ভর করতে পারি না। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শুধু কৃষিখাতই যথেষ্ট নয়, ব্যাপক শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে। ইতোমধ্যে নতুন নতুন অনেক শিল্পাঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও একশো ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই আমরা শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানি নিশ্চিতে কাজ করছি।
ঢাকা ওয়াসা ভর্তুকি দিয়ে পানি বিক্রি করছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা। আর তারা বিক্রি করছে ১৫ টাকায়। আমরা সারফেস ওয়াটারে গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে ৬৬ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড আর বাকি ৩৪ শতাংশ পানি দেওয়া হচ্ছে সারফেসের মাধ্যমে। তবে টেকসই সমাধানের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ সারফেস এবং ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালকসহ ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এনএফ