বসিলায় জঙ্গি আস্তানা : অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানা থেকে অস্ত্র, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক র্যাব সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
র্যাব সদস্যরা জানান, জঙ্গি আস্তানায় এখনও তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ভেতরে এখন র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও ফরেনসিক টিম কাজ করছে। ভেতর থেকে ডগ স্কোয়াড, বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট তল্লাশি করে করে অস্ত্র, নগদ অর্থ ও রাসায়নিক দ্রব্য জব্দ করেছে।
এর আগে সকালে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে একজনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বসিলায় একটি বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব-২। জঙ্গি আস্তানার বিষয়ে র্যাবের কাছে গোপন সংবাদ রয়েছে। অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবে র্যাব।
সরেজমিনে দেখা যায়, বসিলা ব্রিজের আগে বাম পাশে একটি গলিতে সাদা রঙের একটি চারতলা ভবন জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রেখেছে র্যাব সদস্যরা। ভবনটির দুই তলা থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় একজনকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা জোরদার করে র্যাব সদস্যরা। এলাকায় যান চলাচল বন্ধ এবং স্থানীয়দেরও ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব উৎসুক জনতার জঙ্গি আস্তানা দেখতে এসেছেন তাদের ঘটনাস্থল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, র্যাবের কমপক্ষে শতাধিক সদস্য ওই ভবনকে ঘিরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া ভবনের আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গিদের তৎপরতা ও ব্রহ্মপুত্র নদে একটি নৌকায় জঙ্গিদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে র্যাব-১৪’র একটি দল ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, আটটি বোমা সদৃশ বস্তু, চারটি ব্যাগ, দরজা ও লক ব্রেকিং সরঞ্জামাদি, একটি মাটির চুলা এবং একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে চার জনকে আটক করে র্যাব।
পরে ওইদিন দুপুরে র্যাব-১৪’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, জামালপুরের একটি গোপন আস্তানায় বিশেষ প্রশিক্ষণ করে জঙ্গিরা ময়মনসিংহে ব্যাংকসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও, স্বর্ণের দোকান টার্গেট করে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এমএসি/এসএসএইচ