২০২৪ সালের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজ বাংলাদেশে উৎপাদন হলেও নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। যে কারণে প্রায়ই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে চার বছর মেয়াদি (২০২০ থেকে ২০২৪) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, অনাবাদি জমিতে পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির করে আবাদি এলাকা বাড়ানো ও আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করে মোট উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২ দশমিক ৩৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৫ দশমিক ৬১ লাখ টন এবং ২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬২ লক্ষ টন উৎপাদন হয়।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কয়েক দফায় সারের দাম কমানো হয়েছে। বর্তমানে টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা এবং এমওপি সার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারে ভর্তুকির পাশাপাশি সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বাবদ রিবেট, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইক্ষু চাষে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত কৃষক লাভবান হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশককে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি জুডিসিয়ারি প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশকের বিপরীতে জৈব বালাইনাশক জনপ্রিয়করণে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় ও ব্যবহারের জন্য হাওড় এবং উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং সমতল এলাকার জন্য ৫০ ভাগ ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এইউএ/এসকেডি