একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ইউনিটে ভাগ করে চলছে মশক নিধন
ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ক্ষুদ্র ইউনিটে বিভক্ত করে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে টিম গঠন এবং প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে মশক নিধনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় ঢাকার মশক নিধনে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত সংসদে তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মশক নিধনে দৈনিকভিত্তিকে ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গুণগত-মানসম্পন্ন কীটনাশক নির্বাচন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। ডেঙ্গুসহ মশকবাহী রোগ প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয়সহ সব সব পর্যায়ে সভা করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা ছাপানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সকাল বেলা লার্ভিসাইড এবং বিকাল বেলা এডাস্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশক নিধনে সেল গঠন করা হয়েছে। সরকারি আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন ও অন্যান্য দফতরে এবং নগরীর উন্মুক্ত স্থানে স্ব স্ব উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বেতার, টেলিভিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুণগত মানের কীটনাশকের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের সঙ্গে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে। এতে কীটনাশক আমদানির লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা করা হয়েছে। এতে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ঢাকা মহানগরীর ২৬টি খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। খালগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পানি প্রবাহ বজায় রেখে মাছ ও হাঁস চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালসমূহের উভয় পাড়ে হাতিরঝিলের মতো ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। খালসমূহ পরিচ্ছন্ন থাকলে কিউলেক্স ও এনোফিলিস প্রজাতির মশার বংশবিস্তার রোধ সম্ভব হবে।
এইউএ/এসকেডি