জেনেভায় তিন সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মহাপরিচালক ফিলিপো গ্র্যান্ডি ও ডব্লিউআইপিওর মহাপরিচালক ড্যারেন ট্যাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) তিন সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য করোনার টিকার প্রাপ্যতা, সামর্থ্য এবং ন্যায়সংগত বিতরণ নিশ্চিত করতে সংস্থাটিকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
ড. মোমেন করোনার টিকা, ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি তৈরিতে কর সাময়িক মওকুফের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিক্স, ডায়াগনস্টিকস এবং অন্যান্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বাংলাদেশের সামর্থ্যের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেব্রেয়াসুসকে জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে বাংলাদেশে মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উপর কমিউনিটি ক্লিনিকের উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করেন এবং এ ধরনের আরও ক্লিনিক স্থাপনের জন্য সংস্থাটির সহায়তা চান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন স্বাস্থ্য খাতের মূলধারায় মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজম সমস্যা সামনে নিয়ে আসার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে ইউএনএইচসিআরের মহাপরিচালক ফিলিপো গ্র্যান্ডির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সংস্থাটির সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অসাধারণ মানবিক সিদ্ধান্তের জন্য গ্র্যান্ডি বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া ডব্লিউআইপিওর মহাপরিচালক ড্যারেন ট্যাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের আইপি সেক্টরকে শক্তিশালী করতে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মসৃণ গ্রাজুয়েশন এবং ভিশন ২০৪১ অর্জনের জন্য ডব্লিউআইপিওর বিশেষ সহায়তা এবং সুবিধা চান।
মেধা সম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হওয়া উচিত ক্ষুদ্রশিল্প, নারী উদ্যোক্তা এবং যুবকদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করা উচিত বলে একমত হয়েছেন মোমেন এবং ট্যাং।
এনআই/এসকেডি