চট্টগ্রামে ভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান
চট্টগ্রামের চুনাতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান পাওয়া গেছে। হাসান-মারজান নামের তরুণ এক দম্পতি এ ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী।
ভিন্ন প্রজাতির ওই ব্যাঙের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গাতা ব্যাঙ’। সোমবার (২৩ আগস্ট) হাসান-মারজান দম্পতি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের জুনে চট্টগ্রামের চুনাতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ‘গাতা ব্যাঙ’ খুঁজে পান হাসান-মারজান। এটি নতুন ধরনের ব্যাঙ হওয়ায় তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
তারা জানান, পরিচিত ব্যাঙয়ের থেকে এটা আলাদা প্রকৃতির। এর শরীরের আকার, ডাকের ধরন ভিন্ন রকমের। ব্যাঙের ডাক ও মলিকুলার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘গাতা ব্যাঙ’ ভিন্ন প্রজাতির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হাসান-মারজান দম্পতি জানান, ব্যাঙ সংগ্রহের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে এর বৈশিষ্ট্য আমেরিকার পিআরজে জার্নালে সাবমিট করা হয়। ছয় মাস রিভিউ করে তারা ১৯ আগস্ট একে নতুন বা ভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
হাসান আল রাজী চয়ন বলেন, এই ব্যাঙ গর্তে বাস করে। তাই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দানুসারে এই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে ‘গাতা ব্যাঙ’।
তিনি বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের তৃতীয় আবিষ্কার। বন্যপ্রাণি যেন মানুষের কারণে হুমকিতে না পরে সেদিকে নজর দিতে হবে। তা না হলে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে না।
এ বিষয়ে মারজান মারিয়া বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০২১ সালের মে মাসে আরও দুটি ভিন্ন ধরনের ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছিলাম আমরা। এটি খুবই আনন্দের ব্যাপার। বিশ্ববাসীকে ‘গাতা ব্যাঙ’ সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উল্লেখ্য, আল রাজী চয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মারজান মারিয়া একই বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। প্রাণিপ্রেমী এই দম্পতি ভবিষ্যতে দেশের সম্মানে বন্যপ্রাণি নিয়ে আরও কাজ করতে চান। বর্তমানে তারা পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক উপাদান সংরক্ষণে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সে (সিসিএ) রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যুক্ত আছেন।
এমটি/এইচকে