১ কোটি ৪ লাখ টিকা হাতে আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
এই মুহূর্তে সরকারের কাছে করোনাভাইরাসের এক কোটি চার লাখ টিকা আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভা নিয়ে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মোট ২১ কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ কিনে এনেছি এবং এর মধ্যে দুই কোটি পাঁচ লাখ টিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এক কোটি চার লাখ টিকা হাতে আছে, এটাও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত পারচেজ (ক্রয় সংক্রান্ত) কমিটিতে আরও ছয় কোটি ডোজ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এটি নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সচিব সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষার বিষয়ে কী করা করা যায়, সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনার পর প্রথম যে নির্দেশনা উনি (প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছেন, অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি একটা কম্পোর্টেবল অবস্থায় এলে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে... সেটা নিয়ে তারা প্ল্যান-প্রোগ্রাম করেছেন। পাশাপাশি সরকারি স্কুল-কলেজ বা ইউনিভার্সিটিগুলোতে যেন শিক্ষাকার্যক্রম অনলাইনে বা ডিজিটাল সিস্টেমে চালু থাকে, ফুল পেইজে, যেটা অনেক জায়গায় চলছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির আইবিএতে পুরোপুরি কার্যক্রম চলছে এবং গ্র্যাজুয়েশনও হয়ে যাচ্ছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন যে শিক্ষাকার্যক্রম যেভাবে হোক, ভার্চুয়ালি হোক কিংবা অনলাইনে হোক চলুক। পাশাপাশি কম্পোর্টেবল অবস্থায় এলে যেন এটা খুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা সচিবও বলেছেন, তারা একটি প্ল্যান-প্রোগ্রাম করছেন। কাল বোধ হয় তারা একটি মিটিংও করেছেন, আইসিটির (আইসিটি বিভাগ) সঙ্গে।
তিনি বলেন, সভায় খাদ্য সচিব প্রথমে খাদ্যের অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। খাদ্য ও কৃষির সমন্বয় প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই দেশে খাদ্যের ঘাটতি না হয়। সেটি কৃষি বিভাগ যাতে স্পষ্ট করে দেয়, চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদন কতটুকু। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করবে, আর উদ্বৃত্ত থাকলে তো তা প্রয়োজন নেই। সেজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে বসে সেটি ঠিক করে ফেলতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু ইতোমধ্যে বোরো ধান উঠে গেছে, গত বছর তিন বার বন্যা হয়েছে। যে কারণে গতবার আমন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার এখনো তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনো পানির স্তর গতবারের চেয়ে অনেক নিচে। সে কারণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, খাদ্য ও কৃষি দুই মন্ত্রণালয় বসে একসঙ্গে কাজ করবে। ইরি থেকে দুই থেকে তিনটি ভ্যারাইটি আসছে, সেগুলোর প্রোডাকটিভিটি হাইব্রিডের কাছাকাছি।’
এসএইচআর/এসএসএইচ/জেএস