‘আর ধানাইপানাই কইরেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন’
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন। আর ধানাইপানাই কইরেন না। আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন কেন।’
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের চলাচল সচেতন করা ও মাস্ক বিতরণ শুরুর আগে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যখন আন্দোলন হবে তখন তো হবেই। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না।’
তালেবানদের দ্রুত সমর্থন দেওয়া ও সাহায্য করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। তারা যাতে কট্টরবাদী, ইসলামের নামে ধর্মান্ধতা না করে এ জন্য দ্রুত তাদের সমর্থন ও সাহায্য করা প্রয়োজন।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক আমাকে রক্ষা করে অন্যকেও রক্ষা করে। কাপড়ের মাস্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। নয়ত পরিবেশ নষ্ট হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘রাশিয়ার টিকার দাম সবচেয়ে কম হওয়ার পরও কেন কিনছে না তার জবাবদিহিতা নেই। সরকার একের পর এক ভুল করে চলছে। গণতান্ত্রিক সরকার না হলে যা হয়।’
জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনজীবন সচল রাখার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ সময় সরকারের কাছে দফা দাবি জানান সাকি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও দ্রুত সময়ে টিকা সংগ্রহ করে দেশের ১৩ কোটি মানুষের টিকা দেওয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে।
লকডাউন ও নানা কারণে আড়াই কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
এএইচআর/ওএফ