রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি, আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২৩ জনের মধ্যে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) কোস্টগার্ড তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সন্দ্বীপের সারিকাইত উপকূল থেকে ৬ বছরের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দুপুরে দিকে সারিকাইত এলাকা থেকে আরও একজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে পুলিশ সন্দ্বীপের উপকূলীয় এলাকা থেকে ১০ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
তিনি বলেন, আজকে সন্দ্বীপ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর ভাসনচরে থাকা তাদের আত্মীয়রা মরদেহ চিহ্নিত করার পর হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২৩ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন।
শনিবার (১৪ আগস্ট) ভাসানচরের নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভাসানচর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলার পর নৌকাটি সমুদ্রের বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে নৌকাটিতে থাকা অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে আশপাশে মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেন। মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে শনিবার ভোরে ভাসানচরে পৌঁছে দেন। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে নামে কোস্টগার্ডের ভাসানচর, সন্দ্বীপ ও সারিকাইত স্টেশন।
কেএম/এসকেডি