করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও বিধিনিষেধ
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আবারও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন, আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’
তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হলে আবার লকডাউন দেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পৃথিবীর যে কোনো দেশে সংক্রমণ বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেওয়া হয়েছে, সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আমেরিকাতেও দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাছিলাম। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের অপরিহার্যতা... এটা খোলা প্রয়োজন, ওটা খোলা প্রয়োজন, কারণ হচ্ছে ব্যবসা করে, কাজ করে, তাদের দিকে তাকিয়ে কিন্তু এ বিষয়গুলো শিথিল করা প্রয়োজন। যদিও পরিস্থিতি কিন্তু এখনো সন্তোষজনক নয়। সেটা (সংক্রমণ) ৫ ভাগের নিচে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধাপে-ধাপে বিধিনিষেধগুলো শিথিল করছি। তার ধারাবাহিকতায় আজকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র যে পরিমাণ আসন, তার অর্ধেক বা ৫০ ভাগ ব্যবহার চালু করতে বলা হয়েছে। আমরা বলছি, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে যানবাহন শতভাগ চলবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেকে সতর্কতার সঙ্গে তাদের পেশার কাজ করবেন।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমি অসতর্ক হলে আক্রান্ত হব। আর আক্রান্ত হলে আমার যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে, আমার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে, স্বাস্থ্যঝুঁকিও মারাত্মকভাবে আছে। সবার বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টি হলে যেমন ছাতা নিয়ে বের হই, তেমনি করোনার এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, যাতে আক্রান্ত না হই।’
বিধিনিষেধ শিথিল করা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে রাস্তায় শতভাগ গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। পর্যটন, রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্রে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান করা যাবে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। সবশেষ তথ্য মতে, বুধবার দেশে ২৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪২০ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ হাজার ৩৯৮ জন।
এসএইচআর/এসএম/জেএস