সন্ধ্যায় রাজধানীতে তীব্র যানজট
সারা দিনের মতো সন্ধ্যায়ও রাজধানীতে ছিল তীব্র যানজট। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকেই চলতে শুরু করেছে যানবাহন। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দিন শেষে সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেট, বকশিবাজার, গুলিস্তান এবং ফুলবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনগুলো গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলও ছিল যথেষ্ট পরিমাণে। সড়কে অতিরিক্ত যান থাকায় স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। যানজটে যাত্রীদের বিশেষ করে অফিসফেরতদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।
ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড মোড়ে সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজে রাস্তা কাটা হয়েছে। যার ফলে ডাইভারশন দিয়ে চলছে গাড়ি। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে প্রত্যেকটি গাড়িকে পার হতে।
গুলিস্তান থেকে সদরঘাটগামী শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়া মোড় পার হতে অন্তত ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। মাত্র ২০০ মিটারের মতো রাস্তায় এত সময় লাগলে চলবে কী করে? লকডাউন শেষে সব যানবাহন বাইরে বের হওয়ায় এমনটা হয়েছে। বিষয়টা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসের চালক সাইফুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকেই রাস্তায় বাস নামিয়েছি। এখানে এসে দেখি রাস্তা কাটা। ফলে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে। এ অবস্থা সকাল থেকেই দেখছি। রাস্তায় আজ প্রচুর গাড়ি। একটু যানজট তো হবেই।
ফুলবাড়িয়া ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সালাহ্উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর আজই গণপরিবহন রাস্তায় নেমেছে। যারা ঢাকার বাইরে ছিলেন, তারা ঢাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, কেনাকাটার জন্য রাজধানীবাসী ঘরের বাইরে বের হয়েছেন। এ জোনের ফুলবাড়িয়ার পশ্চিম অংশে রাস্তা কাটার জন্য যানজট বেশি হচ্ছে। আমরা যানবাহন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ডাইভারশন দিয়েও যানবাহন দ্রুত পার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এমএইচএন/আরএইচ