টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়া সেই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত
বাসায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে টিকা নিয়ে অনিয়মের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে চসিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, বিষু দে চুক্তি ভিত্তিতে চসিকের আলহাজ মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন। তাকে আমরা চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও আমরা বের করব। এ জন্য আমরা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এদিকে টাকার বিনিময়ে বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দেকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি আলোচনা আসার পরই আসামি সাজ্জাদ ও চসিকের স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে পালিয়ে যান। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দেকে গ্রেফতার করতে পারলে জানা যাবে এ ঘটনায় চসিকের আর কেউ জড়িত আছে কি না।
উল্লেখ, শনিবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীতে গণটিকা কার্যক্রম চলাকালে খুলশী এলাকার একটি বাসায় গিয়ে চারজনকে টিকা দেন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মী বিষু দে। প্রতিজনকে টিকা দেওয়ার বিনিময়ে তিনি এক হাজার টাকা করে নেন। মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের টিকাদান কার্যক্রমে দায়িত্বরত ছিলেন বিষু দে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন থেকেই গোপনে ওই টিকা নেন বিষু দে।
এ ঘটনায় সোমবার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাপাসগোলা ইপিআই জোনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে বিষু দেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি করা হয়।
গত শনিবার (৭ জুলাই) এমডি হাসান নামে এক যুবক ফেসবুকে বাসায় টিকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করে পুলিশের নজরে আসেন। পরে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে বিষু দে নামে চসিকের এক স্বাস্থ্যকর্মী এ টিকাকাণ্ডে জড়িত।
কেএম/এসকেডি