খুলনায় মন্দির ও বাড়ি ভাঙচুর : দোষীদের শাস্তি দাবি সুজনের
সাম্প্রতি খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে চারটি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু দোকান ও কয়েকটি বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একইসঙ্গে সংগঠনটি ওই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে সুজন সভাপতি এম. হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে পূর্বপাড়া মন্দির থেকে কয়েকজন নারীভক্ত কীর্তন করতে করতে শিয়ালী মহাশ্মশানের দিকে যাচ্ছিলেন। পথের মাঝে একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের ইমাম নারীদের কীর্তন করতে নিষেধ করেন। তখন কিছুটা তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টি নিয়ে থানায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সেই বৈঠক হওয়া আগেই শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে শতাধিক যুবক রামদা, চাপাতি, কুড়াল নিয়ে শিয়ালী গ্রামে হামলা চালায়। তারা বাজারের গণেশ মল্লিকের ওষুধের দোকান, শ্রীবাস মল্লিকের মুদি দোকান, সৌরভ মল্লিকের চা ও মুদি দোকান, অনির্বাণ হীরার চায়ের দোকান ও তার বাবা মজুমদারের দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় শিবপদ ধরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। তার বাড়ির গোবিন্দ মন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া হরিমন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া দুর্গামন্দির, শিয়ালী মহাশ্মশান মন্দিরের বেশিরভাগ প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কয়েকজন বাধা দিতে গেলে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। এলাকাবাসী প্রতিরোধ তৈরি করার আগেই যুবকরা পালিয়ে যায়।
বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আমরা মনে করি ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের স্বভাবসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই হামলা চালিয়েছে। শুধু এ ঘটনা না, অন্ধকারের এই শক্তি সবসময় সমাজে ঘাপটি মেরে থাকে। যেকোনো অজুহাতেই এরা এদের ঘৃণ্য মানসিকতা নিয়ে উস্কানি সৃষ্টি করে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমরা সমাজের সচেতন মানুষদেরকে এই অপশক্তির অপতৎপরতা সম্পর্কে সবসময় সতর্ক থাকার এবং এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএইচএন/ওএফ