৬ অক্টোবর ‘জাতীয় জন্ম ও নিবন্ধন দিবস’
প্রতি বছর ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জন্ম ও মৃত্যু আইন, ‘২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধনের কথা বলা রয়েছে। এটাকে আরও ইফেক্টিভ করার জন্য ওনারা (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়) দিবসটা পালন করতে চাচ্ছেন। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধতা আসে।’
বিভিন্ন বিষয়ের জন্য নিবন্ধন প্রয়োজন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোর্টে জন্ম বা মৃত প্রমাণের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক পেনশন, লাইভ ইনস্যুরেন্সের দাবি, জমিজমার নামজারির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন যেমন প্রয়োজন তেমনি মৃত্যু নিবন্ধনও প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা যেন ক্যাবিনেট থেকে একটি উদ্যোগ নিয়ে কো-অর্ডিনেশন করানো হয়।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলো এবং ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রার আছে। প্রত্যেক দফাদার, চৌকিদার জন্ম গ্রহণকারী ও মৃত্যুর তথ্য নিয়ে রেজিস্ট্রি করে। এই সনদগুলো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে করানোর নির্দেশনা এবং তাদেরকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত করা হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ৭০ টাকা ফি নেয়, ৫০ টাকা তারা নিজে পায় ও ২০ টাকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়।’
এসএইচআর/ওএফ