টিকা ছাড়া বের হলেই শাস্তি
আগামী ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে ৫/৬টি কেন্দ্র।
মন্ত্রী বলেন, ১১ তারিখে সব পর্যায়ের মানুষ যারা কাজ করছেন তারা ভ্যাকসিন নেবেন এবং সনদ নিয়ে কাজে যোগ দেবেন। দেশের ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক ভ্যাকসিন নেবেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা জানিনা করোনার সংক্রমণ কবে কমবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে পুলিশকেও ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে করে কিছু জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাদেশ লাগবে, আমরা হয়তো সেদিকেই যাবো।
স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য সভায় জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ৭ দিনের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মোট ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের বয়স্কদের আগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
করোনার সংক্রমণরোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। গত ২৩ জুলাই থেকে সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই গত রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
এইচআর/এসএম