রাজধানীতে চলাচল বেড়েছে
সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ প্রথম কয়েক দিন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হলেও আজ সোমবার (২৬ জুলাই) তা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে এসে রাস্তায় মানুষের সঙ্গে বেড়েছে যান চলাচলও। কিছু মানুষ জরুরি কাজে বের হলেও অধিকাংশই বিধিনিষেধের নিয়ম অমান্য করে বের হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকা, গুলশান ও রামপুরা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চেকপোস্টে যাকেই আটকানো হচ্ছে, তিনিই বলছেন জরুরি কাজে বের হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ প্রমাণ চাইলে দেখাতে পারছেন না।
তবে সকালের দিকে যান ও জন চলাচল তেমন ছিল না। এদিকে, দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে পুলিশ চেকপোস্টগুলোতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপরতা কমেছে।
কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম কয়েক দিন রাস্তায় রিকশা চলাচল বেশি থাকলেও অন্য যানবাহনের চলাচল খুবই কম ছিল। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে আজ রাস্তায় রিকশার পাশাপাশি প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের চলাচল বেড়েছে। অন্যদিকে, রাস্তায় মানুষের চলাচলও বেড়েছে। এছাড়া রাস্তার অনেক জায়গায় ভাসান দোকানও দেখা গেছে।
প্রগতি সরণি এলাকায় পুলিশের টহল দেখা গেলেও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। এছাড়া, লিংকরোড এলাকায় অনেক রাইড শেয়ার মোটরসাইকেলও দেখা যায়।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ রিকশাচালক শাহজাহান বলেন, প্রথম কয়েক দিন রাস্তা ফাঁকা ছিল। এখন প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের অভাব নেই রাস্তায়। চেকপোস্টে খালি আমাদের জিজ্ঞাসা করে প্রাইভেটকারকে কিছু বলে না পুলিশ।
গুলশান গুদারা ঘাটে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে আছেন মোটরসাইকেলচালক সুজন দাস। তিনি বলেন, রাইড শেয়ারিং বন্ধ আছে ঠিক কিন্তু আমাদের পেটের দায়ে বের হতে হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় এখন সবাই বের হয়েছে। কেউ মাইক্রোবাসে যাত্রী নিচ্ছে, কেউ প্রাইভেটকারে যাত্রী নিচ্ছে। তাহলে আমরা করলে সমস্যা কোথায়?
বিধিনিষেধে রাস্তায় গাড়ি ও মানুষজনের বের হওয়া সম্পর্কে মেরুল বাড্ডা পুলিশ চেকপোস্টে কর্মরত উপপরিদর্শক পদ মর্যাদা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকাল থেকেই তারা অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছেন যুক্তিযুক্ত কারণ না থাকায়। তার পরেও রাস্তায় অনেক মানুষ ও গাড়ি রয়েছে। তারা নিয়ম অমান্য করে চলাফেরা করছে। এই কঠোর বিধিনিষেধ মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচানোর জন্য দেওয়া হয়েছে। মানুষ সচেতন না হলে প্রশাসনের পক্ষে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে।
এমএসি/এইচকে