গভীর রাতেও জমজমাট পশুর হাট
ভাই দাম কত? এক সত্তর দেবেন। বিক্রি করবেন কত? বলেন আপনি, এক দশ দেবো। না ভাই হবে না। নিলে দেড় লাখ দিতে হবে।
রোববার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় আফতাব নগরের কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার এমন দর কষাকষির চিত্র দেখা গেছে।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, গভীর রাতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কিনতে ঘুরছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ দর কষাকষিতে ব্যস্ত। আবার পছন্দের গরুর দামে মিলে যাওয়ায় অনেকে গরু নিয়ে বাড়ির পথে।
এখানকার হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ অতিরিক্ত দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। আবার বিক্রেতারা বলছেন কেনার খরচ বেশি, প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলছে না ক্রেতারা।
হাট ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা আবু কাওসার। তিনি বলেন, দিনে কাজের ব্যস্ততা ছিল। রাত সাড়ে ১১টার সময় এসেছি। হাটে গরু আছে। কিন্তু বেপারিরা দাম ছাড়ছেন না। এক লাখ টাকার গরু দেড় লাখ এক লাখ ষাট চাচ্ছেন।
সোরহাব নামের আরেক ক্রেতা দেড় লাখ টাকায় গরু কিনেছেন। বলছেন, সেই সন্ধ্যায় এসেছি। ঘুরতে ঘুরতে দুইটার সময় গরু কিনলাম।
পাবনার গরু বেপারি কাইয়ুম। ২২টি গরু নিয়ে গতকাল এসেছেন। এখন পর্যন্ত ৭টি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা গরু দেখছে দামও বলছে। কিছু লাভ হলেই বিক্রি করে দেবো।
হাটের হাশিল ঘরের দায়িত্বে থাকা সাব্বির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতেও বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। কাল পরশু বিক্রি আরও বাড়বে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে হাট পরিচালনা করতে বলেছে। কিন্তু বাস্তবে হাটে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই চোখে পড়ছে না। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব।
এসআই/এমএইচএস