গাবতলী হাটে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজারের বেশি পশু বিক্রি
আনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরুর আগেই কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীর ঐতিহাসিক গাবতলী গবাদি পশুর হাটে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা এক হাজারের বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পশুর দাম চড়া। আর বিক্রেতারা বলছেন, দাম স্বাভাবিক আছে। অন্যদিকে বাজার কমিটি বলছে, অনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরু না হওয়ায় বিক্রি এখন কম হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী পশু হাটের হাসিল ঘরের সামনে দেখা যায়, ২০-২৫টি গরু ও ৫/৭টি খাসি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। হাসিল ঘরের জানালায় ব্যাপক ভিড়। কেউ কেউ দ্রুত হাসিল দিতে ঘরের জানালাতেই উঠে পড়েছেন। ঘরের সামনের রাস্তায় একটুও ফাঁকা জায়গা নেই। হাসিল ঘর থেকে জানা গেছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশটির মতো গবাদি পশু বিক্রি হয়েছে।
হাসিল ঘরের সামনে কথা হয় মোহাম্মদপুর থেকে পশু কিনতে আসা সোলাইমান হাসানের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, বাজার অনেক চড়া। কেউ দাম ছাড়তেই চায় না। অবশেষে এক লাখ ২৫ হাজার টাকায় এই গরুটি কিনলাম। হাটে তো কোনো সামাজিক দূরত্বই নেই, জানি না কি হবে।
গরু বিক্রেতা জামাল তালুকদার বলেন, হাটে গরুর দাম স্বাভাবিকই আছে। এখন হাটে মানুষ কম। তাই ক্রেতাদের কাছে দাম বেশি মনে হচ্ছে। করোনার এই সময়ে তো আমরাই দাম কম চাচ্ছি। আমাদের টার্গেট গরু বিক্রি করে যাওয়া। দাম ধরে রেখে তো লাভ নেই।
দুপুর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিন আগেও এই হাটে যে পরিমাণ জায়গা খালি ছিল এখন তার ১০ শতাংশ জায়গাও খালি নেই। প্রায় পুরোটাই কোরবানির পশুতে ভরে গেছে। দুপুর থেকে মানুষের আনাগোনা বেশি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম ছিল। অধিকাংশই এসেছেন দেখতে। তবে এর মধ্যেও যাদের দামে মিলে গেছে, তারা পশু কিনেছেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ