পশুর হাট যেন আজই শুরু
শুক্রবার বিকেল ৩টা। এ সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে সবাই ছুটে এলেন কোরবানির পশুর হাটে। কারণ মাত্র ক’দিন পরই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ত্যাগের এই উৎসবে সামিল হতে কোরবানির জন্য তারা দুপুর থেকে আসতে শুরু করেছেন পশুর হাটের দিকে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ‘ঐতিহাসিক গাবতলী গবাদি পশুর হাটে’র সামনে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে শত-শত মানুষ এসেছেন কোরবানি পশুর এই হাটে। কেউ এসেছেন হেঁটে, কেউ বাসে আবার কাউ এসেছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর হাট শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আজ মানুষের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, কোরবানির পশুর হাট যেন আজই শুরু হয়েছে। ঢাকায় এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাট বসেছে। সেগুলোর একটি এই গাবতলী কোরবানির পশুর হাট।
মিরপুর থেকে কুরবানির পশু কিনতে আসা রাসেল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামনে তো আরও ভিড় হবে, তাই আজই গরু কিনতে এসেছি। দামে মিললে আজই কিনব।
গাবতলী হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কুরবানির পশু নিয়ে আসতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। গত কয়েকদিন হাট খালি থাকলেও আজ (শুক্রবার) পুরো এলাকা কুরবানির পশুতে ভরে গেছে। তবে কিছুটা অনিশ্চয়তায় আছেন ব্যবসায়ীরা। তাই গরুর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা কম চাইছেন তারা। তাদের প্রত্যাশা, খুব বেশি লাভ না হলেও অন্তত যেন সবকটি গরু বিক্রি করে যেতে পারেন।
এদিকে কুরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ও র্যাবের আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ারও।
এবার দুই সিটি করপোরেশনে দুটি স্থায়ীসহ ২১টি হাট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও নয়টি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও ১০টি অস্থায়ী হাট বসানো হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত পাঁচ দিন হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা হবে।
এমএইচএন/এসএসএইচ