এনআইডি ছাড়াই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। যা শেষ হবে ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোরে। কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ ছিল অধিকাংশ সরকারি অফিস। তবে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে, এনআইডি সেবাকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
যদিও নাগরিকদের কথা চিন্তা করে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে অত্যাবশ্যকীয় সেবা চালু রেখেছিল এনআইডি কর্তৃপক্ষ। মূলত এনআইডি কার্ড ছাড়া করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করা যায় না। এজন্য এ সেবা চালু রেখেছিল এনআইডি কর্তৃপক্ষ।
সরকার সব নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনছে। যদিও এখন পর্যন্ত ৩৫ বছরের কম বয়সীরা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না। এনআইডি ছাড়াই যেন সবাই টিকা দিতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিকা দেওয়ার বয়সসীমা ১৮ বছরে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমাদের দেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পর ফাইজার, মডার্না এবং সিনোফার্ম থেকেও কোভিড-১৯ এর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। এমনকি আবারও সারাদেশে একযোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এই টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনার উদ্দেশ্যে টিকার বয়সসীমা ১৮তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ করে কমিটি।
এসআর/এসকেডি