বৃহস্পতিবার থেকে বাসে যাত্রী পরিবহনে মানতে হবে যেসব শর্ত
দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের গণপরিবহন ও যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ বিধিনিষেধ শিথিলের এ সময়ে গণপরিবহন চলাচলের কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিআরটিএ সদর দফতরের পরিচালক প্রকৌশল শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের স্বাক্ষরে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে
১. একজন যাত্রীকে বাস ও মিনিবাসে পাশাপাশি দুটি আসনের একটি আসনে বসিয়ে অন্য আসনটি অবশ্যই ফাঁকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে, শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আড়াআড়িভাবে আসন বিন্যাস করতে হবে। মোটরযানের নিবন্ধন সনদে উল্লেখ করা আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
২. সমন্বয় করা ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৩. গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার ও টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস ও মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. যানবাহনের মালিকদের যাত্রীদের হ্যান্ডব্যাগ, মালপত্র, জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে।
২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে গণপরিবহন বন্ধ
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রিপরিষদের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
পিএসডি/জেডএস