পুলিশ দেখলেই জিহ্বা কেটে ফেলেন জাহাঙ্গীর!
চট্টগ্রামের শীর্ষ ছিনতাইকারী মো. জাহাঙ্গীর ওরফে গাল কাটা জাহাঙ্গীরকে (২৫) ৫ সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে দুটি ছোরা।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কোরবানিকে সামনে রেখে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর বাদে গ্রেফতার অন্যরা হলেন- মো. ইমন শরীফ প্রকাশ ইমন (১৯), মো. সাইফুল প্রকাশ সুমন (২৪), মো. মনির (২১), মো. নজরুল আহমেদ সাগর (২০) এবং সাইদুর রহমান ইবু (২২)।
বুধবার (১৪ জুলাই) ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গাল কাটা জাহাঙ্গীর শীর্ষ ছিনতাইকারী। কিন্তু তিনি চক্রের সদস্যদের দিয়ে কাজ করান। নিজে সশরীরে ছিনতাই তেমন করেন না বলে তার বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ৪টি। তিনি খুবই ধূর্ত। পুলিশ দেখলেই ব্লেড দিয়ে নিজের জিহ্বায় পোঁচ দিয়ে রক্তাক্ত করেন যাতে তাকে আহত মনে করে পুলিশ না ধরে। পুলিশ দেখলেই জাহাঙ্গীর ব্লেড দিয়ে নিজের জিহ্বা কেটে ফেলেন বলে তাকে গাল কাটা জাহাঙ্গীর নামে ডাকে সবাই।
ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের পাশে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ইমন, সুমন ও মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাদের প্রধান জাহাঙ্গীরসহ ২ জনকে। এ সময় জাহাঙ্গীর পুলিশ থেকে বাঁচতে ব্লেড দিয়ে তার জিহ্বা কেটে ফেলেন।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন কোরবানি উপলক্ষে তারা জড়ো হয়েছিলেন। গরুর বেপারি ও গরু ক্রেতাদের টার্গেট করেই তারা পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের গ্রুপে ৫ জন থাকলেও কোরবানি উপলক্ষে চাঁদপুর থেকে সুমনকেও দলে ভেড়ায়।
গ্রেফতার মো. ইমন শরীফ প্রকাশ ইমনের বিরুদ্ধে ৫টি, মো. সাইফুল প্রকাশ সুমনের বিরুদ্ধে ২টি, মো. নজরুল আহমেদ সাগরের বিরুদ্ধে ৪টি এবং সাইদুর রহমান ইবুর বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার ছয়জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
কেএম/এইচকে