মগবাজার বিস্ফোরণ : ৯ দিন পর মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সুভাষ
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সুভাষ চন্দ্র সাহা (৬২) । এ নিয়ে মগবাজারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ জনে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলেও বিষয়টি জানা যায় মূলত আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর।
আরও পড়ুন: শহর যেন মৃত্যুফাঁদ
সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র সাহা বলেন,আমার বাবা বাসে করে তেজগাঁওয়ে ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময় মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন। বাবা দীর্ঘ ৯ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন।
সঞ্জয় আরও জানান, বর্তমানে আমরা রাজধানীর গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় থাকি। আমাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানা এলাকায়।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুভাষ মগবাজারের ঘটনায় আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শেষ রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। যেহেতু মামলার তদন্তভার আমাদের ইউনিট করছে তাই আমরা এসেছি।
তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তার ছেলের কাছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই ৭ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন শতাধিক মানুষ। আহতদের বেশিরভাগই ছিলেন আশেপাশের ভবন, কয়েকটি বাসের যাত্রী এবং পথচারী।
ভবনের কোথাও গ্যাস জমে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিস্ফোরণে তীব্রতা ছিল বিস্ময়কর।
যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই তিনতলা পুরনো ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে। সেই সঙ্গে আশপাশের আরও কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসএএ/এনএফ