যে কারণে বাড়ল বিধিনিষেধ
দিন যাচ্ছে আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার দেশে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ। সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।
এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
পড়ে ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। আজ নতুন করে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো। অর্থাৎ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই ‘কঠোর বিধিনিষেধ’।
দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জনের। এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে।
এসএইচআর/এমএইচএস