বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করল র্যাব
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৪৩৮ জনকে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৪ জুলাই) দেশব্যাপী ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এই জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে বিধিনিষেধ কার্যকর ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে দেশব্যাপী মাঠে ছিল র্যাব। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট।
তিনি বলেন, লকডাউনের চতুর্থ দিন রোববার (৪ জুলাই) বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দেশব্যাপী র্যাবের ১৮৭টি টহল ও ২১১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও র্যাব জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
আ ন ম ইমরান খান বলেন, বিধিনিষেধ অমান্য করায় দেশব্যাপী পরিচালিত ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৩৮ জনকে সর্বমোট ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বিনামূল্যে ৩ হাজারের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।
লকডাউনের চতুর্থ দিনে ৩০ জন অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।
এর আগে, তৃতীয় দিন শনিবার (৩ জুলাই) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৭৭ জনকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৫ টাকা জরিমানা করে র্যাব। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুলাই) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২১৩ জনকে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা জরিমানা করে র্যাব। আর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ১৮২ জনকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা জরিমানা করে র্যাব।
এমএসি/ওএফ