‘সবাই কথাটা শুনলে করোনা এভাবে ছড়াত না’
ঈদুল ফিতরের সময় সবাই যদি সরকারের কথাটা শুনতেন, তাহলে আজ করোনা এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না। শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা সমস্যা, জনগণকে গত ঈদুল ফিতরের সময় বারবার অনুরোধ করলাম যে, আপনারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না। কিন্তু অনেকই তো সে কথা শোনেননি। সবাই ছুটে চলে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ফলাফলটা কী হলো? পুরো বর্ডার এলাকায় এবং বিভিন্ন জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়ল। সবাই যদি আমাদের কথাটা শুনতেন, তাহলে আজ করোনা এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না। এই হলো বাস্তবতা।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা মানুষকে করে যাচ্ছি। আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা আর্থিক খাতে সহযোগিতা দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এমন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই, যাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া না হয়েছে। যেহেতু আবার করোনা দেখা দিয়েছে, আমাদের সাধ্যমত আবারও আমরা সহযোগিতা দেবো। খাদ্য ঘাটতিতে যাতে কারও অসুবিধা না হয়, অবশ্যই সে বিষয়টি আমরা দেখব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটাই লক্ষ্য, দেশের জনগণের কল্যাণ করা। আমাদের সব অর্থনৈতিক নীতিমালায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিই গ্রামের মানুষ, সাধারণ মানুষ, খেটে-খাওয়া মানুষ ও অনগ্রসর মানুষকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জেলে এবং হিজড়াদের আমরা সমাজে স্বীকৃতি দিই। যাদের ঘর নেই প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র অনেক নৃগোষ্ঠী আমাদের সমতলে আছে, তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
এইউএ/আরএইচ