লকডাউন বাস্তবায়নে পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র্যাব
করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ লোকজনকে মানাতে পাড়া-মহল্লায়ও অভিযান পরিচালনা করবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (০৩ জুলাই) বেলা ১২টায় রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে লকডাউনে র্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কামান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না। সচেতনতার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে কামান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, লকডাউনের নিয়ম না মানায় দেশব্যাপী ৪ শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চার লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দেশজুড়ে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে চার শতাধিক অতিরিক্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনা করার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই ক'দিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে ঘরে থাকুন। অন্যথায় আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার আগে ১০টি চেকপোস্ট পর্যালোচনা করেছি, পাড়া-মহল্লায় গিয়েছি। আপনারা যথার্থই বলেছেন, পাড়া-মহল্লায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আজ থেকে পাড়া-মহল্লায় স্পেশাল অভিযান পরিচালনা করা হবে। নাগরিকদের অনুরোধ করব পাড়া-মহল্লায় আপনারা জমায়েত হবেন না।
লকডাউনের প্রথম দুই দিন র্যাবের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সারাদেশে ১৮২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (০২ জুলাই) সারাদেশে ২২০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা। গত দুই দিনের প্রেক্ষাপটে গতকাল চেকপোস্ট বেশি ছিল। যারা নির্দেশনা মানছেন না, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এখন বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।
এমএসি/জেডএস