অচেনা নীরব এক নগরী ঢাকা
করনোভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এই সর্বাত্মক লকডাউনের সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বৃষ্টি। সব মিলে নীরবতা নেমে এসেছে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে।
শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকা ঘুরে দেখা মিলেছে অন্য এক নগরীর। সড়কে শুধু চলছে রিকশা ও পুলিশের টহল গাড়ি। নেই মানুষের আনাগোনা, পুরো সড়কই যেন ফাঁকা। এ যেন এক অচেনা ঢাকা।
‘সর্বাত্মক লকডাউন’-এর দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা সড়কে অনেকক্ষণ পর পর দেখা গেছে দুই একটি পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকারের চলাচল। বিভিন্ন মোড়ে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছে কোথায় যাচ্ছেন? কেন যাচ্ছেন? তবে যারা বের হয়েছেন প্রায় সবার মুখেই মাস্ক দেখা গেছে।
মেরুল বাড্ডায় কথা হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছি। জনগণ যাতে বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলেন সেগুলো নিশ্চিত করছি।
কারওয়ান বাজার থেকে সবজি নিয়ে রামপুরা আসা ব্যবসায়ী মতিউর রহমান শুভ্র ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সবজি ব্যবসায়ী, মাল আনতে বাজারে গিয়েছিলাম। ফেরার সময় পুলিশ কিছু বলে নাই। কিন্তু যাওয়ার সময় কয়েকটি মোড়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
বসুন্ধরা থেকে পল্টন যাচ্ছেন রিমন হাওলাদার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বড় ভাই অসুস্থ, তাই বৃষ্টিতে ভিজেই দেখতে যাচ্ছি। পথে পুলিশ তিন দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি বলেন, দেড়শ টাকার রিকশা ভাড়া সাড়ে ৩শ টাকা দিচ্ছি। এ যেনো বিপদের ওপর বিপদ।
রিকশাচালক মারুফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির দিনে এমনিতেই ভাড়া বেশি হয়। আপনি রিকশায় বসে আছেন, আর আমি ভিজে ভিজে চালাচ্ছি। তো ভাড়া বেশি দিবেন না। তার ওপর আবার লকডাউন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৮জুন থেকে সারাদেশে লকডাউন চলছে। তবে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে রাজধানীসহ সারাদেশে। লকাডাউনে বন্ধ অফিস আদালত। তবে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। এছাড়াও পোশাক কারখানার পাশাপাশি ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা রয়েছে।
এমআই/এমএইচএস