বিধিনিষেধে সড়কে ঘোরাঘুরি, ঢাকায় আটক ৪৯৭
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবুও অকারণে বা খোঁড়া অজুহাতে ঘরের বাইরে যাচ্ছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে ঘোরাঘুরি করায় রাজধানীতে আটক করা হয়েছে ৪৯৭ জনকে। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৮ জনকে আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে আটজনকে। বাকিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন মোট জরিমানা করা হয়েছে চার লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা। মামলা হয়েছে ২৭৪টি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশনা পরিপালনে সকাল থেকে একযোগে ডিএমপির ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন ও গোয়েন্দা ডিভিশন মাঠে কাজ করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সকাল থেকে রাজধানীর রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্ট, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অকারণে ঘোরাঘুরির জন্য মোট ৪৯৭ জনকে আটক করা হয়।
আটক করার পর ২৫৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে আটজনকে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে জরিমানা করা হয়েছে চার লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা। মামলা দায়ের করা হয়েছে ২৭৪টি। গাড়ি জব্দ করা হয় ছয়টি, রেকারিং করা হয় ৭৭টি।
আগের দিন কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভার্চুয়ালি সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইন-চার্জসহ সব ইউনিট প্রধানদের এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।
একইদিন সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, অকারণে কেউ ঘর থেকে বের হলে গ্রেফতার করা হবে। দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
জেইউ/আরএইচ/জেএস