চট্টগ্রামে ১৬ স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট, রাস্তাঘাট ফাঁকা
চট্টগ্রামে কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ। আর এই বিধিনিষেধ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীতে দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) নগরীর এনায়েত বাজার, লাভলেইন, কাজির দেউড়ী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দোকানপাট বন্ধ। তবে মূল সড়কে স্বল্প সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেট, নতুন ব্রিজ, অক্সিজেন মোড়সহ ১৬টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ ও সিটি গেট এলাকায় সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া নগরীতেও সেনাবাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে। অলিগলিতে কিছু মানুষ বের হলেও বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। নগরীর চারটি প্রবেশপথসহ মোট ১৬টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গাড়ি চেক করার পাশাপাশি যারা জরুরি প্রয়োজন কাজে বের হয়েছেন তাদের চলতে দেওয়া হচ্ছে। আর বিনা কারণে বের হলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অযাচিত কাউকে গাড়ি নিয়ে বের হতে দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কসহ নগরীতেও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রত্যেক উপজেলাতে তিনটি করে সেনাবাহিনীর টিম কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য নগরীতে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
কেএম/জেডএস