সীমান্ত দিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে অস্ত্র আসছে
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আসছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ মে ঢাকার আশুলিয়ার নাল্লাপাড়া এলাকায় মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় রোববার (২৭ জুন) রাতে র্যাব-৪ রাকিব হোসেন (২২) ও তার সহযোগী ইমন হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করে।
তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা এবং বিভিন্ন সময় র্যাবের হাতে আটক হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সীমান্ত দিয়েই এসব অস্ত্র তাদের হাতে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। একটি সিন্ডিকেট আছে। সেই সিন্ডিকেট এসব অস্ত্র সংগ্রহ করছে। এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধ করার চেয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনই বড় কাজ। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধও করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশুলিয়ার একটি মসজিদের খাদেম মো. নজরুল ইসলাম এক নারীর কাছ থেকে দুলাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দুইজনের মধ্যে বিরোধ হয়। এতে নজরুলকে ডেকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগের পর আদালতে মামলা করেন নজরুল।
তিনি বলেন, ওই মামলার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই নারী আলিম নামে একজনকে দিয়ে মসজিদের খাদেম নজরুলকে শায়েস্তা করবেন বলে ঠিক করেন। পরে আলিম তার গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। অভিযুক্তরা খাদেমকে কুপিয়ে জখমের পর আত্মগোপনে চলে যান। তারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে পালিয়েও বেড়িয়েছেন। এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেফতারে মানববন্ধন করেন। সবশেষ গতরাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেফতার রাকিব ও ইমনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান অভিযুক্ত আলিমকে গ্রেফতারে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
এমএসি/আরএইচ