বিধিনিষেধেও চলছে ওয়াটার ট্যাক্সি, স্বস্তিতে যাত্রীরা
সীমিত পরিসরে তিন দিনের বিধিনিষেধ চলাকালে পণ্যবাহী পরিবহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তবে রাজধানীর হাতিরঝিলে চলছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
সোমবার (২৮ জুন) গুলশান সংলগ্ন গুদারাঘাট ওয়াটার ট্যাক্সি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সি ছেড়ে যাচ্ছে এবং অন্য ঘাট থেকে এখানে ট্যাক্সি আসছে।
গুদারাঘাট থেকে রামপুরা, পুলিশ প্লাজা হয়ে এফডিসি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো। অন্য গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
ওয়াটার ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাবিবুর রহমান নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, যাব কারওয়ান বাজার। কিন্তু রিকশা ছাড়া অন্য সব গণপরিবহন বন্ধ। রিকশায় ভাড়া চাচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি চলছে। তাই এখানে আসা। লকডাউনে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করায় আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের অনেক উপকার হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে গণপরিবহন বন্ধ অন্যদিকে অফিস খোলা। পরিবহনের অভাবে সকাল থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামীদের। এ অবস্থায় অন্তত ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করায় আমরা হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে পারছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুদারাঘাটের ওয়াটার ট্যাক্সি কাউন্টারে কর্মরত একজন বলেন, যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা ওয়াটার ট্যাক্সি চালু রেখেছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি, তাই যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আমরা ওয়াটার ট্যাক্সি চালু রেখেছি। যদি বন্ধের নির্দেশনা আসে তাহলে বন্ধ করে দেব।
হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি বর্তমানে গুদারাঘাট-রামপুরা ব্রিজ-এফডিসি ঘাট ও পুলিশ প্লাজা ঘাটে চলাচল করছে। রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন ঘাট থেকে গুলশান-১ নম্বর গুদারাঘাট পর্যন্ত ২৫ টাকা, এফডিসি মোড় সংলগ্ন ঘাট পর্যন্ত ৩০ টাকা, পুলিশ প্লাজা পর্যন্ত ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। অন্যদিকে গুদারাঘাট থেকে এফডিসি পর্যন্ত ৩০ টাকা, রামপুরা পর্যন্ত ২৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
এএসএস/এসকেডি/জেএস