অবৈধ মোবাইল ফোন নিবন্ধনের আওতায় আনা জরুরি: টিক্যাব
জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের অবৈধ মোবাইল ফোন নিবন্ধনের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও জরুরি বলে দাবি করেছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
শনিবার ( ৯ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় টিক্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, গত ৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান গণমাধ্যমের কাছে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু করবেন বলে জানান। আমরা বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল নিম্নমানের মোবাইল ফোন প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে ও মোবাইল ফোনের হিসাবও রাখা যাবে। আমাদের বাজারে প্রতিবছর ২৫-৩০ ভাগ মোবাইল ফোন অবৈধভাবে চলে আসে। ফলে সরকার বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারায়। নিবন্ধন পদ্ধতি চালু হলে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানো সম্ভব হবে। মোবাইল ফোনের মালিকানা নিশ্চিত না হওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীরা এর সুফল ভোগ করে। অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের এ কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে আমরা আশা পোষণ করছি।
বর্তমানে গ্রাহকদের হাতে থাকা সচল অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ না করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে মুর্শিদুল হক বলেন, বিটিআরসি এক্ষেত্রে গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি নিবন্ধিত করে নির্বিঘ্নে চালাতে পারবে। অন্যথায় এই ফাঁকফোকর দিয়ে অবৈধ মোবাইল ফোন সচল থাকবে। হুমকির মুখে পড়বে জননিরাপত্তা। নিবন্ধনের সুফল আমরা পুরোপুরি পাব না।
টিক্যাবের আহ্বায়ক আরও বলেন, বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রাহক উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের বড় একটি অংশ গ্রামীণ ও স্বল্পশিক্ষিত। তাদের জন্য নিবন্ধন পদ্ধতিকে যথাযথভাবে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে। পুরোনো মোবাইল ফোন পুনরায় বিক্রি ও বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল ফোন নিবন্ধন সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি একান্ত জরুরি।
এএসএস/ওএফ