অনলাইনে ডিএসসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স-ট্রেড লাইসেন্স করবেন যেভাবে
গ্রাহকদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ বা ট্রেড লাইসেন্স পেতে আগে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হতো। গ্রাহকদের বিড়ম্বনা নিরসনে এবার অনলাইনেই ই-ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় কার্যক্রম চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এই কার্যক্রমের আওতায় যে কেউ ঘরে বসে নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ, নবায়ন ও বাসাবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবেন।
এক সময় নগরবাসীকে ট্রেড লাইসেন্স ও গৃহকর পরিশোধে ব্যাংক অথবা সিটি করপোরেশনে গিয়ে বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার হওয়া ও দীর্ঘসময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমানে ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই হোল্ডিং ট্যাক্স ফি পরিশোধ, ট্রেড লাইসেন্স করা যাচ্ছে।
ট্রেড লাইসেন্স
অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করতে হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে etradelicense.dscc.gov.bd প্রবেশ করতে হবে। একটি নিবন্ধন ফরম পাওয়া যাবে। সেখানে নাম, মোবাইল ফোন নম্বর, ই-মেইল, ব্যবসার ধরনসহ বেশ কিছু তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
ফরম সাবমিট করলে আরেকটি ফরম আসবে। সেখানেও চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর যুক্ত করতে হবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে। সফলভাবে সাবমিট করলে সেবা গ্রহীতার মোবাইলে একটি মেসেজ পাবেন। সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট এলাকার রাজস্ব পরিদর্শকও বার্তা পাবেন।
পরে রাজস্ব পরিদর্শক কাগজপত্র যাচাইয়ের পর আবারো ফিরতি মেসেজ যাবে সেবা গ্রহীতার মোবাইল ফোন ও ই-মেইলে। ফিরতি মেসেজে ট্রেড লাইসেন্স ফি’র পরিমাণ ও জমা দেওয়ার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা সশরীরে ব্যাংকে গিয়েও ফি পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া বিকাশ, রকেট বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। ফি জমার পরপরই সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স সুপারভাইজারের মোবাইল ফোনে মেসেজ যাবে।
এরপর লাইসেন্স সুপারভাইজার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে একটি ই-ট্রেড লাইসেন্স ই-মেইল যোগে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি এসএমএসও পাবেন গ্রাহক। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ তিন দিন।
হোল্ডিং ট্যাক্স
অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হলে প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে erevenue.dscc.gov.bd প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশের পর গ্রাহক একটি নিবন্ধন ফরম পাবেন। গ্রাহকের মোবাইল নম্বর, ইমেইলসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর হোল্ডিং নম্বর সম্পর্কিত আরেকটি ফরম আসবে। সেখানে হোল্ডিংয়ের যাবতীয় তথ্য যুক্ত করার পরে জানা যাবে, হোল্ডিং ট্যাক্সে বকেয়া কত আছে।
বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে চাইলে পরিশোধ অপশনে গিয়ে গ্রাহক তার ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য যুক্ত করতে পারবেন। এরপরই মোবাইলে মেসেজ চলে আসবে কার্ড থেকে তার কত টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ কাটা হয়েছে। পাশাপাশি বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও নির্ধিরত ফি পরিশোধ করা যাবে।
এএসএস/ওএফ