বাসের পর বন্ধ হচ্ছে ট্রেনও
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঢাকা থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (পরিচালন) মো. রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, পণ্যবাহী ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
এতে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলা শহরের জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ২৩ জুন থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হচ্ছে। ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন পরিচালনা করা হবে না।
গতকাল (সোমবার) ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণার পর প্রথমে বলা হয়েছিল শুধু লকডাউনঘোষিত জেলাগুলোতে ট্রেন থামবে না, অন্য গন্তব্যে যথারীতি ট্রেন চলবে। আজ মঙ্গলবার সকালেও বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা থেকে ট্রেন চলবে। তবে এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল কর্তৃপক্ষ।
গত কিছুদিন ধরে ঢাকার বাইরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে আজ (মঙ্গলবার) থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন শুরু হয়েছে। গাবতলীসহ ঢাকার সব টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসের পর এখন রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ট্রেনও বন্ধ হচ্ছে। রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ থাকবে সব ট্রেন।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৭ জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচল করবে না। বাজার-শপিংমল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকবে (জরুরি সরকারি অফিস ছাড়া)।
এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা লকডাউন আগে থেকেই চলছে।
পিএসডি/এনএফ/জেএস