সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে এনায়েত উল্লাহকে দুদকের নোটিশ
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার (১৪ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক নোটিশে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়।
সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে অঢেল সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
সম্পদের নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেয় দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক নুরুল হুদা।
অভিযোগের বিষয়ে সম্প্রতি ঢাকা পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছিলেন, দুদক চাইলে যে কারো বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে। তদন্ত হলে অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা তা প্রমাণিত হবে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তিনি বলেন, বছরখানেক আগে সংগঠনের কয়েকজনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বের করা দেওয়া হয়েছিল। তারা আবার সংগঠনে ফিরতে চায়। তারাই বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় অভিযোগ করে আসছিল। ওই অভিযোগ থেকে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ খন্দকার এনায়েত উল্লাহ রাজধানীর আশেপাশে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাদা আদায়সহ নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর পরিবহন শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ওই সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে সড়ক পরিবহন সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ খাতে নতুনভাবে বিশৃঙ্খলা আনতে একটি চক্র মাঠে নেমেছে।
এরপর ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ইসমাইল হোসেন বাচ্চু দাবি করেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রতিদিন ঢাকার পরিবহন খাত থেকে ‘প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন’।
আরএম/এসকেডি