জিএমের মুক্তির দাবিতে কেজিডিসিএলের কর্মচারীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) জিএম সারওয়ার হোসেনসহ তিনজনের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে নগরীর ষোলশহরে কেজিডিসিএল ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে কেজিডিসিএল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম বলেন, আমাদের যে কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা অত্যন্ত সৎ। সামান্য ভুলত্রুটির কারণে তাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এভাবে হয়রানি করা হলে কেউ আর কাজ করবে না। আমরা অবিলম্বে গ্রেফতার কর্মকর্তাদের মুক্তির দাবি করছি।
এর আগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সারওয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান ও টেকনিশিয়ান মো. দিদারুল আলমকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও মামলার বাদী মো. শরীফ উদ্দিন তাদের গ্রেফতার করেন।
পরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন : কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ট্রান্সমিশন ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান, টেকনিশিয়ান মো. দিদারুল আলম ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে গ্রাহক মুজিবুর রহমান।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি আদেশ অমান্য করে আবাসিক খাতে নতুন ও বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম চাঁন্দগাঁও থানা এলাকায় গ্যাস সংযোগ ও নতুন রাইজার নির্মাণের সুযোগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ২২টি দ্বৈত চুলায় সংযোগ দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশনায় আবাসিক খাতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
কেএম/এসকেডি