যুবলীগ নেতা এনু ও রুপনের ৮৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
বিভিন্ন অনৈতিক ব্যবসার মাধ্যমে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে দুদক সচিব ড. মু. আনােয়ার হােসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক সচিব বলেন, তদন্তকালে আসামি মাে. এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তার সহযােগী হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ এনামুল হক এনুকে মােট ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেন। এ জন্য তাদের নামও চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।
দুদক জানায়, মানিলন্ডারিং অপরাধ করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ ( ১ ) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন ২০১২ এর ৪ ( ২ ) ও ৪ ( ৩ ) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুদক সূত্রে জনা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
অন্যদিকে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদকের অপর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২২টি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল অনুসন্ধান ও তদন্তের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের অপর সদস্যরা হলেন : উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
আরএম/এসকেডি