সীমান্তে ২ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন জরুরি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ২ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে জনগণের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো একটি উপজেলায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। যা সত্যিই বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে ২ সপ্তাহের জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবশ্যই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য সব জেলা ও শহরগুলোর পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলা ও উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার যোগান নিশ্চিত করতে হবে।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই মহামারির সময়ে অপেক্ষাকৃত বিত্তবানদের অসহায়, গরিব ও দুঃস্থ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গরিবদের খাবার ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ঘর থেকে বাইরে বের হলে অবশ্যই সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করলে মিউকরমাইকোসিস হতে পারে। যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত এক ধরনের ফাঙ্গাসের মাধ্যমে ছড়ায়।
এসময় তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
এসময় উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি, অক্সিজেনের যোগান বৃদ্ধি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আ.ফ.ম রুহুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল প্রমুখ।
টিআই/এসএম/জেএস