ঠিকাদার নয়, সেনাবাহিনী দিয়ে বাঁধ নির্মাণের দাবি
সাধারণ ঠিকাদার নয়, বাঁধের স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’। মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সমাবেশে সংগঠনের সদস্যরা বলেন, মেঘনার ভাঙন থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতি উপজেলার ৭ লাখ মানুষকে বাঁচাতে গত ১ জুন একনেকে তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তারা বলেন, এই নদীতে বাঁধ প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। কেননা, ইতোপূর্বে সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে নির্মিত বাঁধ পানিতে বিলীন হয়ে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই না, নতুন করে আবারও সাধারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিপূর্ণ কাজে বৃহৎ এই প্রকল্পের নামমাত্র কাজ হোক।
বক্তারা বলেন, আবারও যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়, তবে এক বছরের মধ্যে তা ভেঙে যাবে। তাই এই বাঁধ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাই।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, গত ২০ বছর ধরে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলা বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বিলীনের পথে। নদীর টেকসই বাঁধের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, মিছিল, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। সবশেষ প্রধানমন্ত্রী বাঁধের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। ২০ বছর ধরে ভাঙন কবলিত বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত রামগতি কমলনগরের সাত লাখ মানুষ আজ আনন্দে উদ্বেলিত। কিন্তু সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে এক বছরের মধ্যেই বিলীন হয়ে যাবার আতঙ্কেও ভুগছে সাধারণ মানুষ। তাই আমরা চাই সেনাবাহিনীর দ্বারা এ বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
সংগঠনটির সংগঠক আফজল হোসাইন (অনিক) বলেন, আমরা চাই না বড় এ প্রকল্প সাধারণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করুক। কারণ, ২০১৪ সালে সরকার ৫ কিলোমিটার বাঁধের কাজ বরাদ্দ দিলে রামগতি অংশে ৪ কিলোমিটার কাজ সেনাবাহিনী দিয়ে করা হলে তা টেকসই হবে। এ ছাড়া এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্রও হয়। কিন্তু কমলনগর অংশে ১ কিলোমিটার বাঁধ সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে নির্মাণ করলে তা ঐ বছরই ১০ বার ধসে যায়। তাই একনেক মিটিং-এ ২০ বছরের প্রতীক্ষার এ বাঁধ প্রকল্প সেনাবাহিনীর দ্বারা নির্মাণের দাবি জানাই।
আরএইচটি/আরএইচ