কথা কাটাকাটির জের ধরে নৈশপ্রহরী আতাউরকে পিটিয়ে হত্যা
নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে কথা কাটাকাটির জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা রেস্টুরেন্টে থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন মো. বাদল (৩৫) ও আতিউর রহমান ওরফে শীতল। এদের মধ্যে বাদলকে ঢাকার আমিন বাজার থেকে ও শীতলকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির রংপুর ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।
শেখ নাজমুল আলম বলেন, ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল প্রতিদিন একসঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন ২৯ মে সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। ডাকাডাকির পরও রুমের দরজা না খোলার এক পর্যায়ে রুমের বাইরে চাবি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর দরজা খুললে মেঝেতে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। তিনি দ্রুত রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে জানান ও থানায় খবর দেন। ওই ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি বাদল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তাকে সাভার উপজেলার আমিন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, বাদল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার দিন (২৮ মে) রাতে প্রধান আসামি শীতলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আতাউরের। একপর্যায়ে শীতল ও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় আতাউরকে বাদল ও শীতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার সময় আরও ৪-৫ জন উপস্থিত ছিল। তবে বাদল জানায় যে, তিনি শীতল ছাড়া অন্য কারোর নাম জানে না।
ঠিক কারণে আতাউরকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি নাজমুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শীতল ও সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে আতাউরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বাদলও তাদের সহযোগী ছিল। তবে হত্যার পেছনে বিশেষ কোনো একটি উদ্দেশ্য রয়েছে কি-না সেটি আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব। এই হত্যায় জড়িত বাকিদের নাম পেয়েছি। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামিদের নওগাঁ জেলার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ, গত ২৯ মে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এমএসি/ওএফ