মারধরের শিকার তরুণীর খোঁজ মেলেনি, পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকায় ‘আপন কফি হাউজ’ নামের একটি কফিশপের সামনে মারধরের শিকার সেই তরুণীর খোঁজ মেলেনি।
গত ১১ এপ্রিল মারধরের ওই ঘটনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মোট তিনজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মালিক জিয়াউর রহমান অসুস্থ থাকায় পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ না মেলায় সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা নথিভুক্ত করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল আমিন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখনো ভুক্তভোগী সেই তরুণীর খোঁজ পাইনি। তার সন্ধানের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল ও ওই কফিশপের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছি।
সোমবার রাতে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় আপন কফিশপের ম্যানেজার আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল রামপুরা থানার আপন কফিশপের সামনে এক তরুণী ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে কফিশপটির ম্যানেজার আলামিন তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। তখন তরুণী খোঁড়াতে খোঁড়াতে সেখান থেকে চলে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ওসি আতাউর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণীকে মারধর করার ভিডিও নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আপন কফিশপে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কফিশপের দুজন জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, ওই তরুণী কফিশপে ঢুকে কাস্টমারদের বিরক্ত করতেন। কফিশপে আসা কাস্টমারদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছেন তারা।
ওই তরুণীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, মারধরের মূল কারণ জানতে ভুক্তভোগী তরুণীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
জেইউ/এমজেইউ